আশুলিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে এক ভ্যানচালক ও দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে জামগড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে । গুলিবিদ্ধরা হলেন ভ্যানচালক আমিরুল, পোশাকশ্রমিক শামিম ও তাইজুল।
এ বিষয়ে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুই পোশাকশ্রমিকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কার্ড পাঞ্চ করে বেরিয়ে আসে। পরে তারা বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর সড়কের জামগড়া, ছয়তলাশের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আশপাশের বিভিন্ন পোশাক কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
একপর্যায়ে শ্রমিকরা বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কে নেমে অবরোধের চেষ্টা করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেলের পাশাপাশি রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে দেখা যায় পুলিশকে।
গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালক আমিরুল বলেন, ছয়তলাশ থেকে বাইপাইল যাওয়ার পথে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যাই। এ সময় পুলিশের গুলি শরীরের বিভিন্ন অংশে বিদ্ধ হয়।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ সময় ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, ‘শ্রমিকরা সকালে কারখানায় হাজিরা দিয়ে সড়কে নেমে যায়। পরে তারা সড়ক অবরোধ করে আশপাশের কারখানা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।’ যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এনজে