ফখর-বাবরের দুর্দান্ত ব্যাটিং, বৃষ্টি আইনে জিতল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৩-১১-০৪ ২০:৩৩:০৩


সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হতো পাকিস্তানকে। ফখর জামান এবং বাবর আজমের ব্যাটে সেই পাহাড়সম লক্ষ্যতাড়ায় বেশ ভালোভাবেই টিকে ছিল পাকিস্তানিরা। তবে মূল কাজটা করে দিয়েছে বৃষ্টি। ভারী বর্ষণের কারণে ২৪ ওভার ৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ ঘোষণা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়াররা। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে জিতে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে নিউজিল্যান্ডকে ২১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৪০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বৃষ্টি আসার আগে ২৫ ওভার ৩ বলে ১ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান করে পাকিস্তান। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড অনুযায়ী, ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের থাকতে হতো ১৭৯ রান। তাই ২১ রানের জয় পেয়েছে বাবর আজমরা।

এই জয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠেছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট থাকলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় নিউজিল্যান্ড আছে চারে। সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে আফগানিস্তানও। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

পাহড়সম লক্ষ্যতাড়ায় নেমে দলীয় ৬ রানে আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে তিনে নামা বাবর আজমকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক করেন ফখর জামান। বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত দুজনে মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। ৮ চার ও ১১ ছক্কায় ৮১ বলে ১২৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ১২৬ রান। ৬৩ বলে ৬৬ রা করে অপরাজিত ছিলেন বাবর।

এর আগে রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসনের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করেছে তারা। ১০৮ রান করেন রাচিন। কেন উইলিয়ামসনও যান সেঞ্চুরির কাছাকাছি। তবে ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয় তাকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এ সময় হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন কিউই ওপেনার। এরপর বড় জুটি গড়েন রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন।

শুরুর দিকে দেখেশুনে খেলে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে চলে যান দুজনই। এরমধ্যে রবীন্দ্র তিন অংকের সংখ্যা স্পর্শও করে ফেলেন। তবে সেঞ্চুরি মিস করেন উইলিয়ামসন। ৭৯ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। এ ইনিংসের মাধ্যমে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান (১ হাজার ৮৪) হলো তার। ১ হাজার ৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং।

সেঞ্চুরি করা রবীন্দ্র শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন। তাকে আউট করেন ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর মার্ক চাপম্যান ও ড্যারেল মিচেলরা নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। দলীয় ৩১৮ রানে বিদায় নেন মিচেল। ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি। চাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন সেই ওয়াসিমের বলে। ক্যামিও ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপসও। মাত্র ২৫ বলে ৪১ রান যোগ করেন স্কোর বোর্ডে। তার উইকেটও নেন ওয়াসিম। মিচেল স্যান্টনার ফিলিপসকে ভালো সঙ্গ দিয়ে করেন ২৬ রান। টম লাথামের ব্যাট থেকে আসে ২ রান।

এএ