চলতি সপ্তাহে স্পট এলএনজির দাম কমেছে এশিয়ার বাজার। তবে এখনো নয় মাসের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে। শীতকাল আসন্ন হওয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক সংঘাত থাকা সত্ত্বেও বাজার নিম্নমুখী হচ্ছে। মূলত এলএনজি ট্যাংকরগুলো পূর্ণ হওয়ায় বাজারে চাহিদা কিছুটা কমে এসেছে। ফলে চলতি সপ্তাহে দাম কমতে শুরু করেছে। খবর রয়টার্স।
এ বিষয়ে শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে নর্থ-ইস্ট এশিয়ার মূল্য ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে গেছে। প্রতি এমএমবিটিইউয়ের (মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) দর নেমেছে ১৭ ডলারে।
এলএনজি বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টুল্লেট প্রেবোনের ব্রোকিং বিভাগের প্রধান ডমিনিক গ্যালাগার বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের প্রভাবে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এলএনজি ট্যাংকগুলোর মজুদের দিকে মনোযোগ দিতে হচ্ছে। আমরা ইউরোপ ও এশিয়াজুড়ে রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং পর্যাপ্ত মজুদের এক মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছি।’
কমোডিটি ব্রোকার ম্যারেক্সের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্বালানি বিভাগের প্রধান টবি কপসন বলেন, ‘পূর্ব এশিয়ায় পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় চাহিদার চাপ কমে এসেছে। ফলে এলএনজির দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে উত্তর এশিয়ায় শীত আসতে শুরু করেছে। ঘর উষ্ণ রাখার পর্যাপ্ত চাহিদা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বাজার কিছুটা নিম্নমুখী থাকতে পারে। চাহিদা না বাড়া পর্যন্ত এটা মেনে নিতে হবে। ব্যবহার বাড়তে শুরু করলেই দাম বাড়বে। তবে তার জন্য ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক অব্দি অপেক্ষা করতে হবে।’
তথ্য পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইসিআইএসের এলএনজি বিশ্লেষক অ্যালেক্স ফ্রোলে বলেন, ‘ইউরোপের বাজার এখনো স্বস্তিদায়ক। পর্যাপ্ত মজুদ ও সমুদ্রগামী জাহাজগুলো নিয়মিত বন্দরে ভিড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় বর্তমান বাজার দর ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। শীতের কুয়াশা এলএনজির বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এবং ভূরাজনৈতিক সংঘাত না বাড়লে গ্যাসের মূল্য আগামী সপ্তাহ ও মাসজুড়ে কমতে থাকবে। তবে এখনো দাম বাড়ার মতো যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে।’
এনজে