আন্তর্জাতিক বাজারে গত কিছুদিন ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে স্বর্ণের দাম। একপর্যায়ে প্রতি আউন্সের দর দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সোমবার (৬ নভেম্বর) নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ড ইল্ড ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে।
আলোচিত কর্মদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বাজার আদর্শ স্বর্ণের দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দর স্থির হয়েছে ১৯৮৩ ডলার ৪৯ সেন্টে। এর আগে গত শুক্রবার বেঞ্চমার্কটির মূল্য দুই হাজার ডলারের ওপরে উঠেছিল।
একই দিনে ফিউচার মার্কেটে মার্কিন বাজার আদর্শ স্বর্ণের দর নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সে দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯৯০ ডলার ৬০ সেন্টে।
বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ওএএনডিএ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক কেলভিন ওয়াং বলেন, নিকটবর্তী সময়ে বুলিয়ন মার্কেটকে প্রভাবিত করবে ১০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড। এই বাজারে প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে এটি। যদি ট্রেজারি ইল্ড আবার ঊর্ধ্বগামী হতে শুরু করে, তাহলে স্বর্ণের দাম ১৯৭৪ ডলারের নিচের স্তরে নেমে যেতে পারে।
ইতোমধ্যে বেঞ্চমার্ক ১০-বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে ৪ দশমিক ৫৯১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার তা ৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। আবার যা বাড়তে আরম্ভ করেছে। ফলে নন-ইল্ডিং বুলিয়নের আবেদন কমতে শুরু করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে নজিরবীহিন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। পরে গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এতে স্বর্ণের দর হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
এএ