আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, আমি জানি না, আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী থেকে শুরু করে... আর এদিকে বামপন্থী হলো আমাদের কমিউনিস্ট এবং এতদিন প্রলেতারিয়েত আর যত আদর্শের কথা যারা বলছে, তারা সব একইসঙ্গে একই সুরে কথা বলে কীভাবে?
তিনি বলেন, তারা এক হয়ে মিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে আমি সেটা জানতে চাই। আজকে আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন- আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? সরকারকে কী কারণে পদত্যাগ করতে হবে? আমরাতো ওদের মতো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারি না।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি–জামায়াতের কর্মসূচির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা এসব যারা করে তাদের আটক করা হবে না তো কী করা হবে? যারা এসব সন্ত্রাস করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আগুন দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে। অগ্নিসংযোগে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
এ সময় আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধে গড়ে তোলার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বারবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।
এএ