নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ পাইকারি বাজারে আরেক দফা বেড়েছে ডালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫-৭ টাকা। দেশে ডলার সংকট, এলসি জটিলতা ও চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া দেশের ডালের বাজারের বড় অংশই আমদানিনির্ভর হওয়ায় সিন্ডিকেট করে আমদানিকারকরা বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন বলেও অভিযোগ অনেকের।
নিতাইগঞ্জ বাজারে দেখা যায়, পাইকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বুটের ডাল। গত সপ্তাহে একই জাতের ডাল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। কেজিপ্রতি ৬ টাকা বেড়ে ১২৮ টাকায় উঠেছে মুগডালের দাম। গত সপ্তাহে এ জাতের ডাল বিক্রি হয়েছে ১২২ টাকায়। আর ভারতের দিল্লি সুপার ডাল গত সপ্তাহে ১৩২ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭ টাকায়। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
এদিকে প্রতি কেজি দেশী মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২২ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। একইভাবে প্রতি কেজি চোনা বুট ৭৭ টাকা থেকে বেড়ে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। ভাঙা বুটের ডাল গত সপ্তাহের ৭৭ টাকা থেকে ৩ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। মাষকলাইয়ের ডাল কেজিপ্রতি ১৩২ টাকা থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
এছাড়া মোটা আস্ত মসুর ডাল গত সপ্তাহ থেকে কেজিপ্রতি ২ টাকা বেড়ে ১০২ টাকায়, ফাটি বা ভাঙা মসুর ডাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৯২ টাকায়, খেসারি ডাল ২ টাকা বেড়ে ৮৭ টাকায় ও প্রতি কেজি ডাব্লি বাজারে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত আছে অ্যাঙ্কর ডালের দর। দুই সপ্তাহ ধরে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জাতের ডাল।
পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে খুচরা বাজারও। পাইকারিতে এসব ডালের দাম যে পরিমাণে বেড়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে খুচরা বাজারে। খুচরা পর্যায়ে মোটা মসুর, খেসারি, মুগ ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১২ টাকা।
এনজে