ডলার শক্তিশালী হওয়ায় বুধবার আরো এক দফা মূল্য হারিয়েছে তামা। বাজারসংশ্লিষ্টরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি তথ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। এ তথ্যের ওপর নির্ভর করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার আরো বাড়াবে কিনা। সুদহার আরেক দফা বৃদ্ধি পেলে শিল্প ধাতুটির বাজার আরো নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) বুধবার তিন মাস সরবরাহ চুক্তিতে তামার দাম দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৮ হাজার ১৫৯ ডলার ৫০ সেন্টে। অন্যদিকে সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে (এসএইচএফই) সর্বাধিক লেনদেন হওয়া ডিসেম্বর সরবরাহ চুক্তিতে ধাতুটির দাম বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ। টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৪৮০ ইউয়ান বা ৯ হাজার ২৫৭ ডলার ৫৩ সেন্টে।
ফেডপ্রধান জেরোম পাওয়েলসহ নীতিনির্ধারকরা সম্প্রতি বাজার প্রত্যাশার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামীতে সুদহার আরো বাড়ানো হতে পারে। তাহলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্য আরো বেড়ে যাবে। এতে তামাসহ ডলারে লেনদেন হয় এমন পণ্য ক্রয় খরচ বেড়ে যাবে। ফলে গ্রাহকরা ব্যবহার সীমিত করে দেবে। এতে বাজারে চাহিদা কমে দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করবে।
এলএমইতে কমেছে টিনের দাম। প্রতি টনে দশমিক ৩ শতাংশ কমে ধাতুটির দাম নেমেছে ২৪ হাজার ৮৬০ ডলারে। একই হারে কমে নিকেলের দাম দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ১৭ হাজার ৩৪০ ডলারে। আর সিসার দাম কমেছে দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬৫ ডলারে। তবে বেড়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও দস্তার দাম। অ্যালুমিনিয়ামের দর দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ২ হাজার ২২৮ ডলার ৫০ সেন্টে। এ হারে বেড়ে দস্তার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি টনে ২ হাজার ৫৫৭ ডলার ৫০ সেন্টে।
এসএইচএফইতে টিনের দাম বেড়েছে দশমিক ৩ শতাংশ। টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৮৬০ ইউয়ানে। একই হারে বেড়ে প্রতি টন অ্যালুমিনিয়ামের দাম উঠেছে ১৮ হাজার ৯৮৫ ইউয়ানে। নিকেলের দাম দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ ইউয়ানে। দস্তার দামও একই হারে বেড়েছে। প্রতি টনের মূল্য ছিল ২১ হাজার ৬৫৫ ইউয়ান। তবে কমেছে সিসার দাম। দশমিক ৬ শতাংশ কমে ধাতুটির মূল্য নেমেছে টনপ্রতি ১৬ হাজার ৩৮০ ইউয়ান।
এনজে