ভারতে চলতি ২০২৩-২৪ বিপণনবর্ষে গমের উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেইন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস (এফএএস)। সর্বশেষ প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে গমের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১০ কোটি ৬০ লাখ টনে। খবর রয়টার্স।
এফএএসের পূর্বাভাসে গত ২৭ অক্টোবর দেয়া ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশার চেয়েও কম উৎপাদনের কথা জানিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ বিপণন বছরের (জুলাই-জুন) খরিপ মৌসুমের ফলন পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, প্রত্যাশিত উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টনে, যা গত বছরের খরিপ মৌসুমের তুলনায় ৯০ লাখ টন কম। তবে এফএএসের প্রতিবেদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ পূর্বাভাসের চেয়েও ৪ কোটি ২৬ লাখ টন কম উৎপাদনের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে শুধু গম নয়, দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চালের উৎপাদন নিয়েও হতাশাজনক তথ্য প্রকাশ করেছে এফএএস নিউ দিল্লি (পোস্ট)। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ স্বল্পতা চলায় সংস্থাটি ২০২২-২৩ বিপণন বছরে চাল উৎপাদন পূর্বাভাস ১৩ কোটি টনে নামিয়েছে।
এরই মধ্যে ভারতের বাজারে চালের দাম চড়া হয়েছে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
শুধু তাই নয়, ভারতের ২০২৩-২৪ বিপণন বছরের উৎপাদন পূর্বাভাসও কমিয়েছে ইউএসডিএর ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে বর্ষাকালীন বৃষ্টি ও বছরের শেষ দিকে আবহাওয়ায় এল নিনোর প্রভাবে চালের উৎপাদন নামতে পারে ১২ কোটি ৮০ লাখ টনে।
এনজে