কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। একের পর এক জয়ে বৈশ্বিক শিরোপাও ঘরে তুলেছিল তারা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও চলছিল তাদের জয়রথ। উড়তে থাকা দলটিকে অবশেষে মাটিতে নামিয়ে আনল উরুগুয়ে।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আজ বুয়েন্স আয়ার্সে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। বিজয়ীদের হয়ে গোল দুটি করেছেন রোনালদ আরাউহো ও দারউইন নুনেস।
১৯৮৭ সালের পর ঘরের মাঠে উরুগুয়ের বিপক্ষে হারল আর্জেন্টিনা। আর গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হারের পর টানা ১৪ ম্যাচ জিতে উড়ছিল আর্জেন্টিনা। তাদেরকে মাটিতে নামাল উরুগুয়ে; আর্জেন্টাইন কোচ মার্সেলো বিয়েলসার কৌশল মেলে ধরে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে টানা চার জয়ের পর প্রথম হারল আর্জেন্টিনা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য টেবিলে এখনও শীর্ষেই আছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এদিন চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে উরুগুয়ে। প্রায় এক মাস প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলা লিওনেল মেসি মাঝেমধ্যে ঝলক দেখিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি।
প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করার চেয়ে ফাউল আর ধাক্কাধাক্কিতে মেতে ছিল আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে! এতে দুই দল মিলিয়ে এই সময়ে পোস্টে শট মাত্র ৩টি, সেখানে ফাউলের সংখ্যা ১৭টি! এর মধ্যে উরুগুয়েই করেছে ১১টি ফাউল।
দশম মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণটি শাণায় অবশ্য উরুগুয়েই। কিন্তু সাফল্য পায়নি তারা। তিন মিনিট পর মেসির শট আটকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক। ১৯তম মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলই মেজাজ হারালে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ।
ম্যাচ ফের শুরু হলে চলে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। ৪১তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেয় উরুগুয়ে। বাঁ দিকে মলিনার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাইলাইনের একটু উপর থেকে বক্সে ক্রস বাড়ান মাতিয়াস ভিনা। ক্লিয়ার করতে পারেননি আর্জেন্টিনার কোনো ডিফেন্ডার। রোনালদ আরাউহোর কোনাকুনি শটে পরাস্ত এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিরতির আগে মেসির কর্নারে রোমেরোর শট গোলরক্ষক ফেরালে এগিয়ে থাকার আনন্দ নিয়ে বিরতিতে যায় উরুগুয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্তিনেস ও আনহেল দি মারিয়াকে নামিয়ে আক্রমণে গতি বাড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা কিছুতেই। উল্টো শেষ দিকে গোল খেয়ে বসে স্বাগতিকরা। ৮৭তম মিনিটে উরুগুয়ের জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেন নুনেস। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে এক ছুটে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান এই ফরোয়ার্ড।
এএ