২০২৪ সালে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম কমার পূর্বাভাস
সানবিডি২৪ প্রকাশ: ২০২৩-১১-১৯ ০৯:৫১:১৮
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতা থেকে কমে আসবে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান রাবোব্যাংকের কৃষিপণ্য সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডট কম।
জলবায়ু সংকট, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও সারের উচ্চমূল্যের কারণে তিন বছর ধরে খাদ্যপণ্যের বাজার খুবই অস্থিতিশীল। রাবোব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো কৃষিপণ্যের দাম কমে যাওয়ায় বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক নিম্নমুখী হবে। তবে দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও আগামী বছর চাহিদা কিছুটা দুর্বল থাকতে পারে। কারণ হিসেবে ব্যাংকটি বলছে, ভোক্তারা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সুদহারের মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। তাই ভোক্তারা অতিরিক্ত খরচ করার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।
একই সঙ্গে রাবোব্যাংক ২০২৪ সালে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে, যা কৃষিপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিকে মন্থর করে দেবে। রাবোব্যাংকের কৃষিপণ্য বিষয়ক প্রধান কার্লোস মেরা জানান, তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম অত্যন্ত অস্থিতিশীল ছিল। উৎপাদনকারীরা এখনো যুদ্ধ, খারাপ আবহাওয়া, অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি ও দুর্বল চাহিদার প্রভাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। তবে ২০২৪ সালে অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে ফিরতে পারে।
কয়েক বছর ধরে রাবোব্যাংক প্রধান ১০টি কৃষিপণ্যের দিকে নজর রাখছে। এটি পূর্বাভাস দিয়েছে ভুট্টা, সয়াবিন, চিনি ও কফির দাম তুলনামূলকভাবে কমবে। তবে আবহাওয়া ও রফতানির অনিশ্চয়তার কারণে গমের দাম এখনো অনিশ্চিত।
আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় ২০২৪ সালে ব্রাজিলে সয়াবিনের রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা দেখছে রাবোব্যাংক। এ সময় ১৬ কোটি ৩০ লাখ টন সয়াবিন উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে ব্যাংকটি। সয়াবিনের শীর্ষ রফতানিকারক আর্জেন্টিনার উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এতে শস্যটির বৈশ্বিক মজুদ বাড়বে। তবে পণ্যটির দাম কেমন হবে তা নির্ভর করছে অনিশ্চিত বিদেশী মুদ্রা বিনিময় নীতির ওপর।
অন্যদিকে গম উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী টানা পঞ্চমবারের মতো ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়াসহ প্রধান গম উৎপাদনকারী অঞ্চলে এল নিনোর প্রভাবে উৎপাদন কমতির দিকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বেকারি, দুগ্ধ খামার এবং মাংস উৎপাদনকারীদের খরচ তুলনামূলক মন্থরগতিতে বাড়ায় এ সময় সবচেয়ে বেশি লাভবান খাতসংশ্লিষ্টরা।