ঢাকার কোতয়ালী, লালবাগ ও উত্তরা-পূর্ব থানায় দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় একদিনে বিএনপির ১৩৭ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পৃথক তিনটি আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন দশ বছর আগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা এক মামলায় যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীরসহ বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মীকে পৃথক তিন ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালত।
নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন।
এছাড়াও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে সাত বছরের সাজা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইবুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকী। এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, হায়দার আলী বাবলা, ইমরান, সেন্টু, নাসুম প্রমুখ।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আটজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে এ মামলা করে পুলিশ। কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ এ মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দীন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে আদালত আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এদিকে এক দশক আগে ঢাকার লালবাগ থানায় নাশকতার অভিযোগে করা এক মামলায় বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত।
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হাজী আলতাফ হোসেন ও মোশারফ হোসেন ওরফে কালা খোকন, জামালুর রহমান চৌধুরী, শফিউদ্দিন আহমেদ সেন্টু, মো.সাইদুল ইসলাম, জিয়ার আলী তাইয়্যন, সাঈদ হোসেন সোহেল ওরফে ক্যাপ সোহেল, হাজী ফয়সাল, আরমান হোসেন বাদল, মো. জুম্মন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. তাজু, মো. রাসেল, রমজান আলী, মো. জিয়া, মুজিবুর রহমান, পলাশ চৌধুরী, জানে আলম, সজিব আহম্মেদ শিবলু প্রমুখ।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অন্য ২৪ জন আসামিকে খালাস দেন আদালত। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
এএ