বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেফগার্ডিং ইন্টারেস্ট অব বাংলাদেশ মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইস্যু অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান অ্যান্ড সোস্যাল প্রোটেকশন শীর্ষক ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের অনেক জটিলতায় পড়তে হয়। আর এ কারণে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে। যদি সেসব জটিলতার অবসান ঘটানো যায় তাহলে রেমিট্যান্স আহরণ আরো বাড়বে।
মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের প্রবাসীরা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল। তাই রেমিট্যান্স বাড়াতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার পাশাপাশি কারিগরি দক্ষতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। বর্তমানে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স আয় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে চায়না উদাহরণ হিসেবে সবার কাছে স্বীকৃত। তাই আমাদের প্রতিটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বের শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে রয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বাংলাদেশ ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। যেখানে ১৯৯০ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৭ বিলিয়ন। ২০০০ সালে ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। যা ২০০৫ সালে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এই রেমিটেন্স আহরণের পেছনে মূল অবদান রাখছে মাইগ্রেট ওয়ার্কাররা। সেই অবদানের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। তাদেরকে সঠিক সুরক্ষা দিতে পারলেই রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ দিন দিন আরো বাড়বে।
সিপিডি ও ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিভাস বি রেড্ডি, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ শাখার প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।