টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহি মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, বিজিএমইএ তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি জিওসাইকেল এর সুবিধা গ্রহনে উৎসাহিত করবে।
জিওসাইকেল, হোলসিম গ্রুপের একটি বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যা বিশ্বের ৫০ টিরও বেশি দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিল্প, কৃষি ও পৌর বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনা করা হয়। এই পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিমেন্ট কিল্ন এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা টেকসই উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি স্বীকৃত উপায়। জিওসাইকেল বাংলাদেশে এধরনের একমাত্র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। ২০৫০ সালের মধ্যে হোলসিম গ্রুপের নেট জিরো কোম্পানি হিসেবে হওয়ার যে লক্ষ্য রয়েছে তা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে জিওসাইকেল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, “বিজিএমইএ তৈরি পোষাক শিল্পের টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জিওসাইকেল এর মতো অনন্য উপায় এই প্রতিশ্রুতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহি মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, “বর্জ্য সমস্যা নিয়ে হোলসিম আলাদাভাবে চিন্তা করে এবং টেকসই উপায়ে তা ব্যবস্থাপনা করার বিষয়ে সমাধান প্রদান করে। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বর্জ্য শূণ্য ভবিষ্যৎ উপহার দেয়া এবং সার্কুলার ইকোনমি নিশ্চিত করা। আমরা দেশের তৈরি পোষাক শিল্পকে এই সেবা দিতে আগ্রহী এবং আজকের এই চুক্তি উভয়ের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ এর পরিচালক ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এর চীফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আসিফ ভূইয়া এবং হেড অব জিওসাইকেল কৌশিক মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন।
এএ