আরো এক দফা জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমাতে পারে ওপেকপ্লাস। এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ২৬ নভেম্বর ওপেকপ্লাসের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকের আগে বিশ্লেষকদের মধ্যে মাত্র একজন প্রত্যাশা করেছিলেন উত্তোলন হ্রাসের পরিমাণ আরো বাড়ানো হতে পারে। তবে বৈঠক ২৬ নভেম্বর থেকে চারদিন পিছিয়ে ৩০ নভেম্বর করার পর প্রায় অর্ধেক বিশ্লেষকই মনে করছেন, আসন্ন বৈঠকে আরো উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়াতে এ পদক্ষেপ নিতে পারে জোটটি। খবর অয়েলপ্রাইস ডটকম।
সম্প্রতি এক জরিপে অংশ নেয়া বিশ্লেষকদের ৫০ শতাংশের পূর্বাভাস মতে, ৩০ নভেম্বরের বৈঠকে ২০২৪ সালে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের চেয়েও বেশি পরিমাণে উত্তোলন কমানোর নীতি নিতে পারে ওপেকপ্লাস। ছয়জন বিশ্লেষক মনে করেন, সব সদস্যের জন্যই অতিরিক্ত উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আর মাত্র দুজন বিশ্লেষকের মত, শুধু রাশিয়া ও সৌদি আরব উত্তোলনের পরিমাণ আরো কমাতে পারে।
সমীক্ষাটি এমন একসময় প্রকাশ করা হলো যখন ওপেকপ্লাস জোটের সদস্যদের মধ্যে উত্তোলন হ্রাস চালিয়ে যাওয়া নিয়ে মতানৈক্য চলছে। বিশেষ করে আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া ও কঙ্গো আগামীতে সরবরাহ কমাতে আগ্রহী নয়। যদিও এসব দেশের উত্তোলন সক্ষমতা আগের মতোই।
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালেও উত্তোলন কমানোর নীতি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে আফ্রিকার সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে ওপেক প্লাসের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। এর আগে জুনের বৈঠকে অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া ও কঙ্গোকে আগামী বছর পর্যন্ত সরবরাহ কমানোর চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য করেছিল জোটটি। এখন আসন্ন বৈঠকেও উত্তোলন আরো কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত মানতেও তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে জোটের অন্য সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। দেশটি এককভাবে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমিয়ে বাজারে প্রত্যাশিত দাম ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।
রয়টার্সসহ একাধিক সমীক্ষায় বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, ওপেক জোটের সদস্যরা ৩০ নভেম্বরের বৈঠকে চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে। একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, চুক্তি হওয়ার ব্যাপারে তিনি ৯৯ ভাগ আত্মবিশ্বাসী। একই সময় আরো দুজন জানিয়েছেন, সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছতে যাচ্ছেন।
রয়টার্সসহ অন্যান্য বাজর বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের ঘরে নেমেছে। চাহিদাও বেশ কমে গেছে, যা নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকে জ্বালানিটির উত্তোলন হ্রাস করার প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছে।
এনজে