রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনার পরপরই তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আব্বাস আলী ও মো. আব্দুল লতিফ বিপ্লব।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে আগুন আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুবদলের চারজন নেতাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
হারুন অর রশীদ বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে তারা আগুন লাগায়। এরপর ৭টা ৪০ মিনিটে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই যুবদলের নেতা, এটা তারা স্বীকার করেছেন। তাদের পদ-পদবিও আছে। আবার তারা যে আগুনটা লাগিয়েছে, সেটির ছবি নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন এবং অন্যান্য নেতাদের পাঠিয়েছেন।
ডিবি প্রধান বলেন, কর্মীদের প্রতি বিএনপি নেতাদের নির্দেশ হলো, বাসে আগুন লাগাতে হবে এবং সেটা তাদের বড় ভাইদের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। সেই নেতারা আবার তাদের বড় ভাইদের কাছে পাঠায়। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা আরো কোথায় কোথায় আগুন লাগিয়েছে তা আমরা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। তাদের সঙ্গে আরো কে কে জড়িত তা জেনে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কেন বাসে আগুন দেওয়া আটকানো যাচ্ছে না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বিচ্ছিন্ন একটি জায়গায় ককটেল নিক্ষেপ করা বা একটা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া বিষয়টা সাময়িকভাবে হয়তো একটা প্রভাব পড়ে। এ কারণেই দেখা যাচ্ছে অবরোধেও ঢাকা শহরে যানজট। অবরোধ যে আছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে না।
বিচ্ছিন্নভাবে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছে।
বিএনপিকে বিস্ফোরক দ্রব্য কারা দিচ্ছে এ বিষয় নিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, কয়েকদিন আগে যুবদলের নেতা আবু সাইদ মিন্টুকে গ্রেপ্তার করার পর আমাদের কাছে এবং আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে যুবদলের নেতারাই এসব ককটেল বানাচ্ছে।
এএ