কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিএনপির ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য ভোটে অংশ নিচ্ছেন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য জনগণের উৎসবমূখরতাই মূখ্য, কোনো দলের ভোটে আসা, না আসা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। চোখে পড়ার মতো উৎসব। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশই হচ্ছে নির্বাচন, কোন দল এলো, না এলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
‘ত্রিশ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও তো ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ইউরোপ-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক দেশেই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না। তাতে কি নির্বাচন অবৈধ ধরা হয়? কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, অবৈধ হবে, এমন তো কথা নেই।’ বলেন কাদের।
তিনি বলেন, কারো কথায় কিংবা কারো বাধায়, গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত নির্বাচনী ট্রেন আর থামবে না। সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজমান। সেজন্য আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। সময়মতোই দেয়া হবে হবে ইশতেহার; প্রায় চূড়ান্ত। সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।
শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্রদের বিষয়ে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নামে একটি দল আন্দোলনের যে চক্রান্ত করছে, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের একটা হরতাল-অবরোধ, কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তবে সন্ত্রাস তারা করতে পেরেছে।’
বিএনপি নেতা শাজাহান ওমর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগ করতে চাইলে সে অধিকার তার আছে, আমরা বাধা দেবো কেন? নির্বাচনে অনেক কৌশল আছে, সেটা আমরা নিয়েছি।
‘তবে ঢালাওভাবে সবাই প্রার্থী হবে, বিষয়টা তা নয়। দলীয় শৃঙ্খলা রেখে ১৭ তারিখের মধ্যে বিষয়টা নতুন করে দেখব। এর মধ্যে আমরা সমন্বয় করব।’
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও বিএনপির আন্দোলনের নামে নাশকতা বিষয়ে চুপ থাকায় টিআইবিসহ নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইফতেখারুল আলম ও বদিউল আলম মজুমদাররা ২৭৩ গাড়িতে আগুন, হরতাল-অবরোধের নামে ভাঙচুর নিয়ে কোনো কথা বলেন না। দেশে সন্ত্রাস-সহিংসতা নিয়ে তাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা নাকি মানবাধিকারের প্রবক্তা।’
নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে কাদের বলেন, ‘যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, সেটার দায় তাদের। সে দায়িত্ব আমরা নেব না। আমরা কাউকে ডিফেন্স করতে যাব না।’
এএ