দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির মেয়াদ শেষ হয়েছে। আমদানির মেয়াদ ফুরানোর খবরে বন্দরে একদিনের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা করে। এমন পরিস্থিতিতে পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরো ১০ দিন আমদানির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি বন্দরের আমদানিকারকদের। এদিকে হঠাৎ করে আবারো আলুর দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকাররা।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একদিন আগেও প্রতি কেজি সাদা জাতের আলু ২৭ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫ টাকা। আর লাল বর্ণের কাটিনাল জাতের আলু বুধবার বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। গতকাল একই জাতের আলুর দাম উঠেছে ৩৫ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সরবরাহ সংকটে হঠাৎ করেই দেশে আলুর বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এমন অবস্থায় দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানিকারক ৪০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পায়। গত ২ নভেম্বর হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়। ফলে আলুর দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু সরকার আলু আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদ না বাড়ালে সামনে আর ভারত থেকে আলু আমদানি হবে না। কিন্তু দেশের বাজারে চাহিদা থাকলেও সে তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে। তাই আবারো দাম বাড়তে শুরু করেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরেই বন্দর দিয়ে ৩০-৪০ ট্রাক করে আলু আমদানি হচ্ছে। কোনো কোনোদিন আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৫০ ট্রাকের ওপর গেছে। বুধবার বন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে ১ হাজার ৭৮ টন আলু আমদানি হয়েছিল। আর গত ২-২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৬৮২টি ট্রাকে ১৭ হাজার ৪২৪ টন আলু আমদানি হয়েছে।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তর আলু আমদানির যেসব অনুমতিপত্র বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করেছেন, সেগুলোর মেয়াদ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। নতুন করে আমদানির অনুমতির মেয়াদ বাড়বে কিনা এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তাতে আজকের (বৃহস্পতিবার) পর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ থাকবে।’
এনজে