তারা হলেন- কাকুয়া বেলদা গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে চাঁন মিয়া (৩৫), মইষা গ্রামের আরমান মিয়ার ছেলে রায়হান (৪০) ও গুপ্ত গাগুলজান গ্রামের আয়নালের ছেলে ফরিদ (৩৪)। তাদের আটক করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। র্যাবের দাবি, নিহত ও আহতরা ‘চরমপন্থি’ দলের সদস্য। তবে তারা কোন সংগঠনে জড়িত তা নিশ্চিত করা হয়নি।
মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার গুগড়া ইউনিয়নের মইষা গ্রামে কথিত এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১২ এর টাঙ্গাইল কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, চরমপন্থিদের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাব-১২ এর সদস্যরা রাতে মইষা গ্রামে অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জন চরমপন্থি জোর করে ওই এলাকার শাহাদত নামের একজনের বাড়িতে ঢুকে অবস্থান নেয়। র্যাব সেখানে গেলে তারা ঘরটিতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট সৃষ্টি করে র্যাবের প্রবেশ রুদ্ধ করে। পরে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। জবাবে র্যাবও পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনু ও আকবারের মৃত্যু হয়।
ফারুকী জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী ৬.৭৫ পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় গুলিবিদ্ধ তিনজনকে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, বন্দুকযুদ্ধে মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক র্যাব সদস্যও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আটক ‘চরমপন্থি’ দলের তিন সদস্যকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ কমান্ডার ফারুকীর দাবি, হতাহতরা ‘চরমপন্থি’ দলের সদস্য। তবে তারা কোন সংগঠনে জড়িত তা নিশ্চিত করেনননি তিনি।