অনুকূল পরিবেশ ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে চা উৎপাদনে উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জনপ্রিয় পানীয় পণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ৮৩ লাখ ৭২ হাজার কেজি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চা উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা চা বাগান মালিকদের।
এ বিষয়ে খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, দেশে ১৬৮টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে মোট ৭ কোটি ৫২ লাখ ১১ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরের একই সময়ে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার কেজিতে।
আর সর্বশেষ তিন মাসে (আগস্ট-অক্টোবর) উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার কেজি। এর মধ্যে শুধু অক্টোবরেই ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯৩ হাজার কেজি চা উৎপন্ন হয়েছে। এ হিসাবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরের উৎপাদন যুক্ত হলে চলতি বছরের প্রত্যাশিত ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত চা চাষের জন্য উপযোগী। এতে বাগানগুলোয় ফলন বেড়ে যায়। বাগানসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ বছর শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়মিত হলেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে বাগানগুলোয় গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি চা উৎপাদন হয়েছে।
সাধারণত জুন-অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে চা উৎপাদনের শীর্ষ মৌসুম ধরা হয়। তবে এ বছর নভেম্বর এমনকি ডিসেম্বরেও বৃষ্টিপাতে বাড়তি উৎপাদন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি ভালো মানের চা পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন বাগান মালিকরা।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২১ সালে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৮০ হাজার কেজি। ওই বছর প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়। পরের বছর লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ কোটি কেজি নির্ধারণ করা হলেও তা পূরণ হয়নি। বছরটিতে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। তবে চলতি বছর আবহাওয়াগত সুফলের কারণে বাড়তি উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে চা খাত। এতে দেশের বার্ষিক চাহিদা মিটিয়ে রফতানির সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
এনজে