ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বিপর্যয়কর এই স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি প্রায় অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আরও চিকিৎসা সুবিধা পাঠানোর জন্য একটি জরুরি প্রস্তাব পাস করা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারাও গাজায় বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করেছেন।
আফগানিস্তান, কাতার, ইয়েমেন এবং মরক্কোর প্রস্তাবিত জরুরি পদক্ষেপে গাজায় চিকিৎসা কর্মীদের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং রোগীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করতে এবং হাসপাতাল পুনর্নির্মাণের জন্য তহবিল যোগাড় করতেও ডব্লিউএইচও-কে বলা হয়েছে।
টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের কাজ করা প্রায় অসম্ভব।
জেনেভায় ৩৪ সদস্যের বোর্ডকে টেড্রোস বলেন, গাজায় চিকিৎসার চাহিদা বেড়েছে। একইসঙ্গে রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে। সংঘাতে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা এক-তৃতীয়াংশে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, গাজায় আহত বিপুল সংখ্যক মানুষের সঠিকভাবে চিকিৎসা করা যাচ্ছে না কারণ গাজা ভূখণ্ডের বেশিরভাগ হাসপাতালই কাজ করছে না। এছাড়া সাড়ে ৩ লাখ লোকের সংক্রমণ রয়েছে যার মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন। ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন যা মূলত এই উপত্যকার প্রায় পুরো জনসংখ্যার সমান এবং তারা যেখানে পারছেন সেখানেই আশ্রয় খুঁজছেন। গাজায় কোনও স্থান এবং কেউ-ই নিরাপদ নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, গাজা এবং পশ্চিম তীরে গত ৭ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে ৪৪৯ টিরও বেশি হামলা হয়েছে। আর এই কারণে এখন সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করা অসম্ভব।
এদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছেন।
এম জি