গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গুয়েতেমালার ১০০ এমপির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ ও আইনের শাসন বাধাগ্রস্ত করায় মধ্য আমেরিকার দেশটির ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দেশটির সংসদ কংগ্রেসের অন্তত ১০০ জন সদস্যও রয়েছেন।
গুয়েতেমালার বেসরকারি খাতের কিছু প্রতিনিধি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও লক্ষ্য করে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন আইনের গোপনীয়তা বিধির কারণে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়াদের নাম প্রকাশ করা হবে না।
গেলো সপ্তাহের শেষের দিকে গুয়েতেমালার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বেরনার্ডো আরেভালোর নির্বাচনে বিজয় বাতিল চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নেন দেশটির প্রসিকিউটররা। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কনসুয়েলো পোরাস নির্বাচনী জয়কে বাতিল করার অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আরেভালোর। একই সঙ্গে তার জয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপকে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ ও ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
গত আগস্টের রান-অব নির্বাচনে আরেভালোর নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর গুয়েতেমালার নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং দলীয় প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কনসুয়েলো পোরাসের কার্যালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গুয়েতেমালার জনগণ তাদের কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গুয়েতেমালার গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন যেকোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।’
দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করা আরেভালো গত জুনে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্যাপক জনসমর্থন পান। এরপর গত আগস্টে দ্বিতীয় দফার রান-অব ভোটে সেনাবাহিনী-সমর্থিত বিরোধী প্রার্থীর বিপক্ষে জয় পেয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
সূত্র: রয়টার্স
এএ