রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে আগামী বছর ইউক্রেনে ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন গম উৎপাদনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের প্রভাব, সরবরাহ সংকট, কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জে দেশটির কৃষকরা শস্যটির আবাদ কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ কারণে উৎপাদন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরগাস মিডিয়া সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী, আগামী বছর ইউক্রেনে ২ কোটি ২ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে। চলতি বছর উৎপাদনের পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন ২০ লাখ টন কমবে।
আরগাস এক নোটে জানায়, ইউক্রেনে শস্যটির পাঁচ বছরের গড় উৎপাদন ২ কোটি ৫৯ লাখ টন। আগামী বছর এর চেয়েও অনেক কম উৎপাদন হবে। ২০১২ সালের পর সর্বনিম্ন উৎপাদন হতে যাচ্ছে এটি।
রাশিয়ার হামলার পর থেকেই ইউক্রেনে খাদ্যশস্য উৎপাদন কমছে। কিয়েভ এরই মধ্যে অনেক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সেসব অঞ্চলের কৃষকরা শস্য আবাদ করতে পারছেন না। এছাড়া যুদ্ধের কারণে দেশটির বেশির ভাগ কৃষকই অর্থ সংকটে পড়েছেন। ফলে তারা যেসব শস্য উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি, সেসব শস্যের আবাদ বাড়াচ্ছেন।
আরগাস জানায়, চলতি বছর ইউক্রেনের ৪৬ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। কিন্তু আগামী বছর আবাদি জমির পরিমাণ কমে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরে নামতে পারে।
এনজে