শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে ক্রমশই তাপমাত্রা কমছে উত্তরের জেলা দিনাজপুর।একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১ সপ্তাহে কমেছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে কুয়াশা কমে গেছে।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে দিনাজপুর জেলা। যেকোনো সময় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যেতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র দশমিক .৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে গেলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে যাবে
এ বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার এই তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ।
বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৩ শতাংশ।
এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ৬ মিলিমিটার, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং রবিবার সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। গত ৬ ডিসেম্বরে বৃষ্টিপাতের পর থেকেই এই জেলার তাপমাত্রা কমে যেতে শুরু করে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো সময় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে। এতে তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে। উত্তর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় এর প্রভাব পড়বে। থাকবে কুয়াশার প্রভাবও। এই মাসেই দুটি শৈত্যপ্রবাহ বইবে এই এলাকায়।’
তিনি বলেন, ‘মূলত বৃষ্টিপাত হওয়ার পর থেকেই এই এলাকার তাপমাত্রা কমে যেতে শুরু করেছে। যদিও নতুন করে কোনো বৃষ্টির আশঙ্কা নেই।’
এদিকে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। আয়-উপার্জনে পড়ছে ভাটা। শীতের কারণে ঠিকভাবে কাজে যেতে পারছেন না একটু বয়স্ক মানুষরা।
এনজে