ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান যুদ্ধের মধ্যেৃ ভুলক্রমে গাজা উপত্যকায় তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা।শুক্রবার গাজা সিটির সিজায়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জিম্মি মুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ইসরাইল।
ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাত থেকে পালাতে সমর্থ হয়েছিলেন এই তিনজন। কিন্তু দখলদার সেনাদের ভুলে করুণ মৃত্যু হয়েছে তাদের।
এ ঘটনাকে ‘অবর্ণনীয় দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক ভুল।’
জিম্মি হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতেই তেলআবিবে বড় ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় অনেকে নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বক্তব্য দেন।
জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগে থেকেই ইসরাইলের ভেতর থেকে চাপ ছিল দেশটির সরকারের ওপর। তিন জিম্মি হত্যার ঘটনার পর এ চাপ আরও বেড়েছে।
একসঙ্গে তিন জিম্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর বিষয়টি তদন্ত করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি দল। তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাতে জিম্মিদের হত্যার বিষয়টি বর্ণনা দিয়েছেন সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক সেনা দেখতে পান, তার অবস্থান থেকে কয়েক মিটার দূরের একটি ভবন থেকে তিন ব্যক্তি বের হয়ে আসছেন।
তাদের তিনজনের কারো শরীরেই কাপড় ছিল না। তিনজনের একজনের হাতে একটি সাদা পতাকা ছিল।
তাদের তিনজনকে ওই সেনা হামাসের সদস্য মনে করেন। তিনি সন্দেহ করেন, তাদের ফাঁদে ফেলতে হামাসের সদস্যরা এভাবে বাইরে বের হয়ে আসছে। এমন চিন্তা করে কোনো দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ওই তিনজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন তিনি এবং সঙ্গে ‘সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী’ বলে চিৎকার করা শুরু করেন।
ওই সেনার গুলিতে তিন জিম্মির দুইজন সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেন। অপরজন দৌড়ে আবার সেই ভবনেই ঢুকে পড়েন।
ওই মুহূর্তে ওই ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বাইরে বের হয়ে আসেন এবং গুলি থামাতে নির্দেশ দেন।
তখন হিব্রু ভাষায় ‘সহায়তা’ চাওয়ার শব্দ শুনতে পান উপস্থিত অন্যান্য সেনারা।
যে তৃতীয় ব্যক্তি আবার দৌড়ে ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন তখন তিনি বের হয়ে আসেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে আরেক সেনা আহত ওই জিম্মিকে গুলি করে হত্যা করেন।
এনজে