ভারতের চলতি মৌসুমের প্রথম আড়াই মাসে কমেছে চিনি উৎপাদনের পরিমান। গত ১ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে মোট ৭৪ লাখ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কম। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ) জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে দেরিতে আখ মাড়াই শুরু হওয়ায় উৎপাদন কমেছে ভোগ্যপণ্যটির। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে আইএসএমএ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে চিনি উৎপাদন ৩৩ লাখ থেকে কমে ২৪ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমেছে। অন্যদিকে কর্ণাটকে উৎপাদন ১১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৭ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।
তবে উৎপাদন বেড়েছে উত্তর প্রদেশে। প্রদেশটিতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর উৎপাদন বেড়েছে ৯ শতাংশ। গত ১ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ টনে। মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারখানা কার্যক্রম শুরু করায় উৎপাদন বেড়েছে।
শিল্প কর্মকর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, দেশটির চিনিকলগুলো থেকে ইথানল উৎপাদনের জন্য ১৭ লাখ টন চিনি সরানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
এদিকে ছয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি রফতানি করে এলেও এখন উল্টো আমদানির পথে হাঁটতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি উৎপাদক ভারতে সরবরাহ ঘাটতির দেখা দিলে তা বৈশ্বিক পর্যায়ে ভোগ্যপণ্যটির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে রয়টার্স।
তথ্যমতে, ভারত গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে ৩ কোটি ৩১ লাখ টন চিনি উৎপাদন করেছে। আইএসএমএ বলেছে, অক্টোবরে শুরু হওয়া বিপণন বছরে ভারতে চিনির নিট উৎপাদন ৩ কোটি ১৭ লাখ টনে নেমে যেতে পারে।
এনজে