জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলায় মা ও শিশু ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়ায় মো. মোশারফ হোসেন নামে এক কাউন্সিলরকে গাছে বেঁধে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা।
গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের বহিষ্কারের দাবিতে চন্দনপুর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পঞ্চপীর মোড় হয়ে মেয়রের বাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ মিছিলে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে পৌর শহরের চর বাঙালি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে যায় কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন। তিনি মা ও শিশু ভাতা কার্ড করে দেওয়ার নামে দুই সন্তানের জননীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে ওই নারী রাজি না হওয়ায় তিনি আরও বিভিন্ন প্রলোভন দেখান এবং তার দুই সন্তানকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায় ওই নারী।
একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন কাউন্সিলরকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। তবুও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে ওই বাড়িতে যাতায়াত করেন এবং অনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চান। গতকাল স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে ওই বাড়ি থেকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় পৌর মেয়র মনির উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর দাবি শুনে কাউন্সিলরকে কার্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনকে উদ্ধার করে। পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে এসে কাউন্সিলরের দায়িত্ব নিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ভিকটিম কোনো অভিযোগ করেননি। তবে অভিযোগ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী পৌর মেয়র মনির উদ্দিন বলেন, পৌর কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনকে মৌখিকভাবে পৌরসভা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তাকে বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
এএ