আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম বেড়ে যাওয়ায় স্মারক স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রার দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা (ডিসিপি) বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। যা বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক স্মারক স্বর্ণমুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রা ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণে তৈরি ও প্রতিটির ওজন ১০ গ্রাম। স্মারক স্বর্ণমুদ্রাগুলোর (বাক্সসহ) প্রতিটির দাম ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন মুদ্রাগুলো বিক্রি করা হতো ৯৫ হাজার টাকায়।
এদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের তথা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২৪ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়।
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়ানোর পাশপাশি ফাইন সিলভারের স্মারক মুদ্রার দামও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিটি স্মারক রৌপ্যমুদ্রার দাম ১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন মুদ্রাগুলো বিক্রি করা হতো ৫ হাজার টাকায়।
এসব মুদ্রার মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন ১৯৯৮, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী ২০২১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১১, জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১, বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি, জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু।
এএ