বিদেশি সাংবাদিকদের প্রতি বিষোদগার করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আয়োজিত এক নির্বাচনী সভায় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তাদের কাছ থেকে বিদেশি সাংবাদিকরা টাকা নিয়ে চিঠি লিখছে বলে উল্লেখ করেন।
আনিসুল হক বলেন, খাইয়াদাইয়া কোনো কাজ নাই। এখন খবর পাইলাম, একজন সাংবাদিক চিঠি লিখতেছে কার আত্মীয়কে নির্যাতন করা হইছিল। যখন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে হত্যা করতেছিল এই সাহেবরা তখন কোথায় ছিল? তখন তো তারা চিঠি লেখে নাই। আজকে পয়সার বিনিময়ে বিদেশি সাংবাদিক সাহেবরা এখন চিঠি লিখতেছে। যাতে নিজেরা দুই পয়সা আয় করতে পারে, যারা লুট করে নিয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আগে ছিল মিসকিনের দেশ। আগে ছিল তলাবিহীন ঝুড়ি। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটাকে করেছেন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আপনাদের জন্য সম্মান এনে দিয়েছেন, মর্যাদা এনে দিয়েছেন। আজকের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে বলেই ভোটের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যখনই ভোট করতে যাই বিএনপি-জামায়াত বলে আমরা করব না। তার কারণ হচ্ছে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন-উন্নতি চায় না। বাংলাদেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুক তারা তা চায় না। তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়। সারা বিশ্বে তারা এখন টাকা ছড়াইতেছে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আপনাদের সামনে পরিষ্কার বলে দিতে চাই- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করলে বাংলাদেশের আইনেই তার বিচার করা হবে।
আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তিনি টানা ৯ দিনের প্রচারণায় নেমেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যে দুইজন প্রার্থী তার বিরুদ্ধে লড়ছেন তাদেরকে কিংবা তাদের দলকে সেভাবে চিনেও না এলাকার মানুষ।
এ সময় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজি হাক্কানিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী দিনভর গণসংযোগের পাশাপাশি একাধিক নির্বাচনিসভায় যোগ দেন।
এএ