অবশেষে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে নতুন করে শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুটি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ জন কর্মী মালদ্বীপের ভেলেনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে মালিক পক্ষ কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। অপরদিকে বিএমএটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন, নতুন ভিসার চুক্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখে সরকারের নির্দেশনা মেনে মালদ্বীপে আসার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ হাইকমিশন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। দেশটিতে বিদেশি শ্রমিকদের চাহিদা বরাবরই বেশি। তবে করোনা মহামারির কারণে দেশটিতে নতুন করে কর্মী নেয়া বন্ধ ছিল প্রায় চার বছর। তবে করোনাকাল কেটে গেলে মালদ্বীপের নতুন সরকারের ঘোষণা মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া শুরু করে। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ জন কর্মী ইউএস-বাংলা ও মালদ্বীভিয়ান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে করে ভেলেনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন।
অন্যান্য দেশের তুলনায় মালদ্বীপে তুলনামূলক ভালো বেতন, পাশাপাশি দেশটির আবহাওয়া অনেকটা বাংলাদেশের মতো হওয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের আগ্রহের আরেকটি কারণ বলে জানিয়েছেন দেশটিতে আসা নতুন কর্মী মো. হেলাল।
দুদেশের সরকারের সদিচ্ছায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মী ভিসা উন্মুক্ত হয়েছে। চার বছর পর বাংলাদেশি কর্মী আনতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন মেরিন হলিডে কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
মালদ্বীপে যেতে ইচ্ছুকদের বিএমএটি কার্ড রেজিস্ট্রেশন, নতুন ভিসা চুক্তিতে কী আছে ও কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে–ভালোভাবে দেখে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ।
কম প্রবাসী থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপ বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রেমিট্যান্সের উৎস দেশে পরিণত হবে বলে মনে করেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী ব্যবসায়ী রুস্তম আলী।
এএ