শীর্ষ রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবের জ্বালানি তেলের দাম কমানো এবং ওপেকের উৎপাদন বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে বিশ্বের তেলের বাজারে। ফলে সোমবার (৮ জানুয়ারি) অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, একদিকে এশিয়ার গ্রাহকদের জন্য ফ্ল্যাগশিপ আরব লাইট ক্রুডের দাম কমিয়ে ২৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়েছে শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব। ক্রমবর্ধামন সরবরাহ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী উৎপাদকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। অন্যদিকে ওপেক বাড়িয়েছে উৎপাদন। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণ বাজারে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল, তা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে।
ফলে সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে ১ শতাংশেরও বেশি। দিনের শুরুর লেনদেনে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম পড়ে যায় ১ শতাংশেরও বেশি। পরে এ অপরিশোধিত তেলের দাম শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৭৩ সেন্ট কমে ব্যারেলপ্রতি নেমেছে ৭৮ দশমিক শূন্য ৩ ডলারে। এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বা ৭৭ সেন্ট কমে প্রতি ব্যারেল ঠেকে ৭৩ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে।
দাম কমার বিষয়ে জ্বালানি তেল বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ভান্দা ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেন, সৌদি আরামকো তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের আফিসিয়াল সেলিং প্রাইস (ওএসপি) কমিয়েছে। এটি জ্বালানি তেলের দুর্বল চাহিদা থাকার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
তবে ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দামই ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এদিকে বার্তা সংস্থাটির একটি জরিপে দেখা গেছে, ভূরাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে জ্বালানি তেলের ওপর প্রভাব পড়েছে। ফলে ডিসেম্বরে অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) দৈনিক তেল উৎপাদন ৭০ হাজার ব্যারেল বেড়ে উঠে গেছে ২৭ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ব্যারেলে।
এএ