কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঙ্ক্ষিত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের দেশগুলোর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে পারলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কিন্তু সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কম। বিশ্বব্যাংক মনে করে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ভূমি ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি সব দেশের জন্য বিনিয়োগের সমান সুযোগ দিতে হবে। প্রতিবেদনে চারটি পিলারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হল— নতুন মার্কেটে যাওয়া, নতুন পণ্য উপযোগিতা সৃষ্টি করা, শ্রমিক ও ভোক্তার কল্যাণে কাজ করা, মুদ্রা ও সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়ন করা।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা বাণিজ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন সম্পর্কিত সভায় ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের এক্সপোর্ট দ্বিগুণ বেড়েছে। যদি চীনের ২০ শতাংশ বাজার দখল করা যায় তাহলে আমাদের পোশাক খাতের রফতানি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এর ধারাবিহকতায় ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ পরিণত হবে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়া তথা বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্স করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর উইন্ডি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আসার অনেক সুযোগ রয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে কিছু উদ্যোগ নিতে হবে।