ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং শ্রীলংকার দেউলিয়া ঘোষণাজনিত আতঙ্কের দেশের পুঁজিবাজারে বড় দর পতনের আশংকার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা ফ্লোর প্রাইস দিয়েছিলো বিএসইসি। দীর্ঘ সময় পর পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা যাতে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি না করে সেই জন্য বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে বর্তমান অবস্থায় করনীয় ঠিক করতে আজ সকালে শীর্ষ ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরামের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় ৩০ জন সিইও যোগদান করেছেন। তারা সবাই এক মত হয়েছে এই অবস্থায় তারা পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য সবার জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন।
আলোচনায় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তার নিজস্ব কোর্ডে এক থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবেন।
আজকের দিনে ডিলার কোর্ডে কোন বিক্রি হবে না, অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারে কোন বায়ার না তাকলে বিক্রি বসানো হনে না, বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক পরামর্শ দেওয়া এবং ট্রেডারা যাতে সতর্কতার সাথে ক্রয়- বিক্রয় করে সেই দিকে নজর রাখা।
বৈঠকের বিষয়ে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার গতিশীল রাখতে আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করবো।
পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বশেষ দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশের শেয়ারের দাম কমে ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়।
এতে গত প্রায় দেড় বছর ধরে এসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে না বললেই চলে। ফলে পুঁজিবাজারেও একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। এ অবস্থায় বাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল।