আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন সরকারের এখন অনেক কাজ করতে হবে। করোনা ধাক্কার পর আবার ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ। তাই আমাদের অনেক কিছু উচ্চমূল্যে কিনতে হয়। কিন্তু কেউ যদি দূরভিসন্ধি মূলক ভাবে কেউ পন্যের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের জেলে দেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ যদি দূরভিসন্ধি মূলকভাবে কেউ মজুদ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমারা কাউকে ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। সে জন্য যা যা করা দরকার তাই করবো। কেউ যেন মজুদ করে মানুষের জীবন মানে কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমরাই আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমার ভোট আমি দেব। যাকে খুশি তাকে দেব। যারা ভোট চুরি করেছে তাদের বিতাড়িত করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করেছে। ভোট কেন্দ্রে না যেতে জণগণকে আহবান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে। কিন্তু জনগণকে ধন্যবাদ তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আমরা নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছি। বিএনপি আমলে তারা এমন কোন কাজ নেই যা করেনি। তারা এবারের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। পুলিশ ওপর হামলা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন আসছে সে বিষয়ে আলোচনা করবো। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। সরকার গঠনের পর এক মন্ত্রীকে নির্বাচন কমিশন ডেকে জানতে চেয়েছে।
এদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমরা রাখবো। কিন্তু কেউ যদি এদেশের উন্নয়নে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমরা চেষ্টা করবো। মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করবো। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
এএ