সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এ দেশটি বঙ্গবন্ধু বেশিদিন পাননি। তার মৃত্যুর পর এক দুবৃত্তের রাজনীতি তৈরি হয়েছে, যার মোকাবিলা আমরা এখনো করে যাচ্ছি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ আয়োজিত আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, খারাপ দিকে চলে যেতে একটা সমাজের সময় লাগে না, কিন্তু ভালো দিকে যেতে অনেকটা সময় লাগে। এখনো কিন্তু আমাদের পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আমাদের শুনতে হয়, যারা জ্বালাও পোড়া করে, তাদের অংশগ্রহণ না হলে নাকি নির্বাচন হয় না। তাদের কাছ থেকে নাকি গণতন্ত্রের দীক্ষা নিতে হবে। আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি এটা সত্য, কিন্তু আমাদের অনেক কিছু আছেও। শিক্ষাক্রমে আমরা অনেক বেশি কিছু করার কথা বলেছিলাম। সমাজকল্যাণেও অনেক কিছু করবার আছে, এটা কেবল ভাতা ও আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক কাজ নয়।
মন্ত্রী বলেন, নিজের কাজটুকু ভালোভাবে করতে পারলে আমরা আরও উন্নত মানুষ হবো। এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ দীর্ঘ দিন ধরে নৈতিকতা দিবস পালন করে আসছে এবং আদর্শ শিক্ষকদের সম্মাননা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদর্শ শিক্ষকদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাই। শিক্ষকদের আদর্শ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।
এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন। উদ্বোধনী সংগীত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ক্লাবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ক্লাবের প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা। অনুষ্ঠানে ১৩তম নৈতিকতা দিবসের আলোচনা এবং প্রয়াত উপদেষ্টাদের স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ‘আদর্শ শিক্ষক’ সম্মাননা পান দেশের ১০ জন শিক্ষক। সম্মাননা পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুন নবী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কায়সার হামিদুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, রাঙগামাটির নারায়ন গিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মু. নুুরল মোস্তফা চৌধুরী, দিনাজপুর সঙ্গীত কলেজের শিক্ষক গনেশ সরেন, সিরাজগঞ্জের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক চমন আরাস্তা শিউলী, বান্দরবানের মেঘলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
এম জি