অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ: নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ২০২৪-০১-৩১ ২২:০৮:২৩


অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ পূনরুদ্ধার করার লক্ষ্য নিয়ে ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে গেলো টাইগার জুনিয়ররা।

ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নেপাল যুব ক্রিকেট দল অলআউট হয় ১৬৯ রানে। জবাব দিতে নেমে জিসান আলম এবং আরিফুল ইসলামের ব্যাটে চড়ে ২৫.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

সুপার সিক্সে বাংলাদেশ খেলবে আর একটি ম্যাচ। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ১৪৮ বল হাতে রেখে এই জয় বাংলাদেশের যুবাদের রান রেট বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক, সন্দেহ নেই। তবে, সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে, পাকিস্তানের বিপক্ষেও বড় ব্যবধানে জিততে হবে টাইগার যুবাদের।

সুপার সিক্সের গ্রু-১ এর পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশ রয়েছে তিন নম্বরে। গ্রুপ পর্বের ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ফল এবং পয়েন্ট সুপার সিক্সেও হিসেব হবে। সে ক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারের কারণে, সুপার সিক্সে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৩ ম্যাচে ৪।

অন্যদিকে ভারত এবং পাকিস্তান ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে রয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে। আবার রানরেটও বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানের ভালো। সে ক্ষেত্রে সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলেই সেমিফাইনালে উঠতে পারবেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিরা।

ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। বিশাল বিক্রমের ৪৮ এবং দেব খানালের ৩৫ রানের ওপর ভর করে ৪৯.৫ বলে ১৬৯ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। রোহানাত দৌলা বর্ষণ ১৯ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শেখ পারভেজ জিবন নেন ৩ উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৬৭ রান। আশিকুর রহমান শিবলি ৩৪ বলে ১৬ রান করে আউট হন। ৪৩ বলে ৫৫ রান করেন জিসান আলম। ১১ বলে ১৫ রান করে আউট হন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।

আরিফুল ইসলাম ৩৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। মোহাম্মদ শিহাব জেমস শূন্য রানে আউট হয়ে যান। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন শেখ পারভেজ জীবন। নেপালের হয়ে সুবাশ বান্দারি একাই বাংলাদেশের ৫টি উইকেট দখল করেন।

এম জি