ফিউচার মার্কেটে বুধবার ফের কমেছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো বাজার আদর্শটির দাম কমল। কারণ হিসেবে বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের বাজার নিম্নমুখী হয়ে ওঠার প্রভাব পড়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের ওপর। তবে দেশটির মুদ্রার বিনিময় হার দুর্বল হয়ে পড়া এবং শীর্ষ আমদানিকারক ভারতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দরপতনকে সীমিত করেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে বুধবার পাম অয়েলের এপ্রিলে সরবরাহ চুক্তির দাম আগের দিনের তুলনায় ৬ রিঙ্গিত বা দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৬ রিঙ্গিতে (৮১১ ডলার ৩৪ সেন্ট)।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা জানান, বিশ্বের প্রধান প্রধান কমোডিটি এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। এর প্রভাবে কমছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দামও। এছাড়া ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদনের সম্ভাবনাও দাম কমার পেছনে ভূমিকা রাখছে।
জানা গেছে, গত ১-২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়া ৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৯ টন পাম অয়েল রফতানি করেছে। দেশটিতে চলতি বছর পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। বছর শেষে উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে দেশটির পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি)। শ্রমিক সংকট কিছুটা নিরসন হওয়ায় উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা।
এনজে