আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে দুই দেশের সম্পর্কে কোনও প্রভাব না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে কোনও ধরনের টানাপোড়েন নেই।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদের নির্বাচন বানচালে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, কথা যখন হয়, কথা প্রসঙ্গে অনেক কথায় হয়। স্পেসিফিক কোনও বিষয় নিয়ে আমরা কোনও চাপের মধ্যে নেই। কোনও ব্যাপারে আমরা কোনও চাপের মুখে নেই। আমরা চাপ অনুভব করছি না। অহেতুক একটা বিষয় নিয়ে মাতামাতি করব দরকারটা কী?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি কোনও ষড়যন্ত্র করছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন কথায় কথায় শুধু ষড়যন্ত্র বললে কি দায়িত্ব শেষ হবে? ষড়যন্ত্র বিষয়টা আছে, থাকবে। ষড়যন্ত্রের ঘাড়ে সবকিছু চাপিয়ে দিয়ে নিষ্কর্ম থাকার কোনও কারণ নেই। রাজনীতি যেখানে আছে, ষড়যন্ত্র সেখানে থাকবে। বিশ্বরাজনীতি হোক, দেশের রাজনীতি হোক। এখন এর মধ্য দিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমার কথা হচ্ছে, আমরা তো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছি না। আমরা পজিটিভ রাজনীতি করছি। ইতিবাচক ধারায় আছি। যারা ষড়যন্ত্র করে, তারা নেতিবাচক ধারায়। পজিটিভ রাজনীতিরই বিজয়ী হবে শেষ পর্যন্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরও ভালো হবে না কেন? সারা দুনিয়ার সবাই কিন্তু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত আছে। যুক্তরাষ্ট্রও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। মধ্যপ্রাচ্যে তারা ইসরায়েলকে সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। একদিকে বৃষ্টি, ঠান্ডা, শৈত্যপ্রবাহ, অপরদিকে রক্ত। বৃষ্টির পানির সঙ্গে লাল রক্তপানি আর দেখা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের দুষ্ট ছেলে ইসরায়েল তাদের কথা শুনছে না। বাইডেন বলছেন একটা, নেতানিয়াহু বলছেন আরেকটা। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছে হামাসকে ধ্বংস করার জন্য।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইয়েমেনের হুতিদের সঙ্গে সংঘাত চলছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজ ও ভ্যাসেলগুলো চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সুইস ক্যানেল দিয়ে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটা সংকট সৃষ্টি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে দেশে কৃষকরা রাস্তায় প্রতিবাদরত দ্রব্যমূল্যের জন্য এবং কৃষি যন্ত্রপাতির মূল্যবৃদ্ধির জন্য। এসব নিয়ে ইউরোপের প্রায় সব দেশে কৃষকরা রাস্তায় নেমেছেন। জার্মানিতে নেমেছেন, ফ্রান্সে নেমেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তো এখান অনেক চিন্তায় আছে। তারা নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত, বাংলাদেশের দিকে অত মনোযোগ দেওয়ার সময় তাদের কোথায়?
এনজে