ইশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চলতি বছরের শেষ নাগাদ চালু হবে বলে আশা করছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৫ সালে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২৫ সালেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ পাবে দেশ। তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) চলে আসা মানেই আমাদের দেশ এখন অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা এখন বিশ্বের ৩৩তম পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। চলতি বছর প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হবে।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির পর এখন কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। রাশিয়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম চালু হতে পারে। তারা বলছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ইউরেনিয়াম এরই মধ্যে প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছে। এখন রি-কমিশনিং স্টেজ চলছে। এর মধ্য দিয়ে আরও তিনটি ধাপ শেষ করলে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজও চলমান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষ নাগাদ শুরু হয় পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। রসাটমের উদ্যোগে সাতটি ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়ামের অ্যাসেম্বলি পৌঁছেছে রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়। রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর। প্রকল্পটির মোট উৎপাদনক্ষমতা হবে ২৪০০ মেগাওয়াট।
এনজে