আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময়ে বেঁধে দেওয়া সম্ভব না। তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার এক যুগ পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন বের হয়নি। আমি বুঝি পুলিশ পারে না এমন কোনও কাজ নেই। একটা মামলার তদন্ত করতে কত বছর লাগবে? সাহারা খাতুন বলেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন ৪৮ ঘণ্টার জায়গায় ৪৮ মাস গিয়ে ৪৮ বছর লাগতে পারে। ২০২৪ সালের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যা মামলার চার্জশিট থানায় পৌঁছাবে কিনা জানতে চাই।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে আমি সাধুবাদ জানাই। একটা জিনিস আমাদের লক্ষ্য করতে হবে। যারা তদন্ত করে তারা যতক্ষণ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ইয়ে (রহস্য) উদঘাটন না করতে পারেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করা সমীচীন হয় না। সময় তদন্ত করতে লাগে যদি, তদন্ত করতে খুব গভীরে যেতে হয় না, সহজে অভিযোগকারী ও অপরাধকারীদের ধরা যায়, তাহলে সেটা তাড়াতাড়ি করা যায়।
আনিসুল হক বলেন, যে মামলাটার (সাগর-রুনি) কথা উনি (হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ) বলছেন সেটা তদন্ত করতে একটু কঠিন। আমি এইটুকু বলতে পারি, অবশ্যই তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবে। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই ধরা হবে। তবে আমি এ মামলার সময় বেঁধে দিতে চাই না। আমি আইনজীবী, জানি এটার সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব না।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়।
এম জি