রাজধানীর শাহজাহানপুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তিন মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারিতে কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত চলাকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে আদালত পৃথক ছয় মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার পুলিশ হত্যা ও রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পাঁচ মামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ চার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ মামলায় গত ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে প্রধান বিচারপ্রতির বাসায় হামলার ঘটনায় মামলা ও ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। এছাড়া দুদকের এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় তিনি জামিন পেলে কারামুক্তিতে বাধা থাকবেনা বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এম জি