নিউইয়র্ক সিটির অদূরে অরেঞ্জ কাউন্টির উডবারির লং মাউন্টেন পার্কওয়েতে একটি গাড়ির ধাক্কায় বাংলাদেশি হাফিজ আহমেদ অ্যাঞ্জেল (৫২) এবং সাথী আহমেদ (৪১) দম্পতি নিহত হয়েছেন এবং তাদের একমাত্র কন্যা রায়দা আহমেদ(১০) গুরুতর আহত হয়েছেন। গাড়ির অপর যাত্রী নিহত পরিববারের একমাত্র পুত্র অক্ষতাবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিউইয়র্ক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, উডবারির স্টেট রুট-৬ এ এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি পরিবারের গাড়িটি দুমড়ে গেছে। একইসময় আরেকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়িটি ঘটনাস্থলে রেখেই ড্রাইভার পালিয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত পরিবারটি ব্রুকলীনের রকোওয়ে বীচ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং বিংহামটন সিটিতে ক্রয় করা বাড়ি দেখতে যাবার সময় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, শতাধিক মাইল বেগে চালানো একটি গাড়ির গতি টানতে চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশি হাফিজ আহমেদ। কিন্তু ঐ ড্রাইভার তা মানতে চায়নি বলে সে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দুর্ঘটনা সৃষ্টি করে। যার কবলে পড়েছিল টহল পুলিশের একটি গাড়িও। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার পর ভ্যালহেল্লালে অবস্থিত ওয়েস্টচেস্টার হাসাপাতালের জরুরি বিভাগ বাংলাদেশি দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিউইয়র্কে বসবাসরত স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে জানান, নিহত হাফিজ আহমেদ ছিলেন কুমিল্লার সন্তান এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশি ইয়েলো সোসাইটির প্রচার সম্পাদক ছাড়াও কম্যুনিটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন প্রিয়মুখ। তার স্ত্রী সাথী আহমেদ বরিশালের সন্তান ছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্যমী নারী উদ্যোক্তাগণের অনুপ্রেরক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন।
এই দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সমগ্র প্রবাসে। বিশেষ করে তাদের অটিস্টিক কন্যাটির জন্য অনেকে পরম সৃষ্টিকর্তার দয়া প্রার্থনা করেছেন দুর্ঘটনার যন্ত্রণা থেকে মুক্তির সময়েই যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ১৮ বছর বয়সী ভাইয়ের কাছে ফিরতে পারে।
বিএইচ