ভূমি দস্যু-সন্ত্রাসী ও নারী নির্যাতনকারী ও তার বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে নীলফামারীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৃত গোলাম আজম বিটু মালিকানাধীন ১০৬ শতক জমি দখলে নিয়ে ভোগ বিলাসে মরিয়া হয়ে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যু এনামুল হক রাজু, প্রভাষক গোলাম আজিজ মিঠু ও ওয়াদুদ ইসলাম গংরা। চক্রটির কাছে নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রধামন্ত্রীর শেখ হাসিনা ও নীলফামারীর সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলনে করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১১ টায় নীলফামারী সদরের বড় বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী পরিবারের মৃত্যু গোলাম আজম বিটুর মেয়ে তাবাচ্ছুম আজম অন্তি।
সংবাদ সম্মেলনে তাবাচ্ছুম আজম অন্তি বলেন, ২০১১ সালে ৬ এপ্রিল আমার বাবা অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু বরণ করে সে সময় আমার বয়স ছিল ১৩ এবং আমার ছোট ভাই তাজমিউল আজম অর্পির বয়স ছিল ৭ বছর। এ সুযোগে আমরা নাবালক থাকায় বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক দেখিয়ে আমার চাচারা আমার বাবার ক্রয়কৃত জমি দোকান পাটসহ অনুমানিক ১০৬ শতক জমি রাতারাতি সবকিছু দখল করে নেয়। পরে স্থানীয় শালিশে বাবার ক্রয়কৃত জমি বুঝে নিতে গেলে তারা হুমকি ধমকি এমনকি আমাদের প্রাণনাশের ভয়ে দেখালে বাড়ি ছেড়ে রংপুরে নানা বাড়িতে আমরা অবস্থান নেই।
তিনি আরও বলেন, বাবার ক্রয়কৃত হোটেল আমার সন্ত্রাসী চাচা এনামুল হক রাজু ও তার সহধর্মনী হাছনা হেনা চৌধুরী তার বাবার বাড়ির পোড়ার হাট এলাকার ডাকাত দল এনে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আমরা দু ভাই বোন বর্তমানে সাবালক হয়ে দস্থানীয় এবং আত্মীয় – স্বজনদের সহযোগিতায় হোটেল খানা নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু সন্ত্রাসী চাচা এনামুল হক রাজু, প্রভাষক গোলাম আজিজ মিঠু ও ওয়াদুদ ইসলাম জোর জরদস্তি করে আমাদের হোটেল খানা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং জন সম্মূখে বলে বেড়াচ্ছে আমরা হোটেল খুললে তারা আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালাবে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে জমি জমা দোকানপাট উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের নিকট আমরা সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
এম জি