পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) সঙ্গে জোট করে নতুন সরকার গঠন করতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। শর্ত অনুযায়ী নওয়াজের সঙ্গে জোট বদ্ধ হতে পিপিপি’র চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন তার বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে দ্য নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
প্রধানমন্ত্রীর পদ চাওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও চায় পিপিপি। পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পিপিপির এ দাবির কথা জানিয়েছেন নওয়াজ শরিফের ভাই ও পিএমএল-এর প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ।
শাহবাজ শরিফ বলেন, বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করা হলে কেন্দ্রের পাশাপাশি পাঞ্জাবেও পিএমএল–এনকে সমর্থন দেবে পিপিপি।
জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে গত শুক্রবার রাতে পিপিপির কো–চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এমনটা জানিয়েছেন পিএমএল-এনের একাধিক নেতা।
পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা ব্যর্থ হলে এমকিউএম, জেইউআই–এফ ছাড়াও অন্য ছোট ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয়ীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন পিএমএল-এন নেতারা। এভাবে সরকার গঠন করতে পারলে শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
পিএমএল-এনের সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় দলটির নেতারা হতাশ। তারা বলছেন, নির্বাচনের ফল নিয়ে নওয়াজ শরিফ, মরিয়ম নওয়াজ ও অন্য নেতারা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এ কারণে জনসমাবেশ, বড় নির্বাচনী প্রচারণা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়াসহ ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ২৬৪ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। যদিও পাকিস্তানে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। কিন্তু ভোটের দিন একটি আসনে ফলাফল স্থগিত করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। এছাড়া নির্বাচনের আগে এক প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
ঘোষিত ফলাফলে ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আল জাজিরার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে- ইমরান খানের দলের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থিরা ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল) জয় পেয়েছে ৭৬ আসনে এবং পাকিস্তান পিপল পার্টি পেয়েছে ৫৪ আসনে জয়। অন্যান্য দল পেয়েছে ৩৭টি আসন। যদিও পাকিস্তানে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪ আসন।
এম জি