হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনার শারমিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা প্রতারণা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৩ জুন দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত বছরের ২৪ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রিপন উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চায়। সাবরিনা ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর, অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম আর এইচ হক আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ৬ জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন সাবরিনা।
এনজে