মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তাবাহিনী ও বিরোধীদের গোলাগুরি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গারা ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে নাফ নদে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ লক্ষ্যে সোমবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদ সীমান্তে স্পিড বোট দিয়ে জালিয়ার দ্বীপে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি।
রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঠেকানো হচ্ছে জানিয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাশাপাশি কোনো লোকজন যাতে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে দমদমিয়ার নাফ নদ সীমান্তে বিজিবির তিনটি স্পিড বোটের টহল অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে মিয়ানমারের মংডু থেকে ছোট ছোট ট্রলারে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েকদিন ধরে সীমান্তে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে অনেক রোহিঙ্গা। তবে একজন রোহিঙ্গাও যাতে সীমান্ত ডিঙাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু আমরা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। আজকে পর্যন্ত ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় এ দিন সীমান্ত শান্ত ছিল।
অন্যদিকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান তুমুল লড়াই ও গোলাগুলির শব্দে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেনাসহ ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এনজে