এক একটা ধর্মীয় উৎসব আসলেই মানুষ কেমন অপ্রকৃতস্থের মত আচরণ করে। মুসলমান ভাইদের ঈদ কুওরবানী রোজা হলে সেটাকে অপমান অপদস্থ করার জন্য উন্মাদ হয়ে ওঠা কিছু বিপথগামী সেক্যুলার ও হিন্দু ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে আমরা আশ্চর্য হই।
আবার হিন্দু ভাইদের দূর্গাপুজা ও রথযাত্রা কিংবা জন্মাষ্টমীরর মত আয়োজনে কিছু বিপথগামী সেক্যুলার ও মুসলিম মানুষের অংশগ্রহণে আমরা বিস্মিত হই।
একজন কুরবানীর ছবি দিলে সমগ্র মিডিয়া মিলে সৌজন্যতার সবক শেখায়, কেউ দূর্গাদেবীর ছবি দিলে তাকে বিজ্ঞানমনস্কতার সবক শেখায়।
কেন ভাই? দরকার টা কি? যার যার ধর্ম সে সে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে দিতে কি সমস্যা?
আমরা মুসলিমরা এমন অনেক কিছু বিশ্বাস করি যা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য নয়, বিশ্বাস বিজ্ঞানের বাটখারায় পরিমাপ করার বিষয় নয়। ঠিক তেমনি যিনি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করেন তার বিশ্বাস তার কাছে বিজ্ঞানাতীত ভাবে সঠিক।
একজন হিন্দু ভাই বা বোনের যেমন হিন্দু থাকা অবস্থায় মুসলিমদের মত নামাজ রোজা করা অনুচিত তেমনি একজন মুসলিমেরও অনুচিত পুজার বেশ-ভূষা ধারণ করা কিংবা পুজা মন্ডপে পুজা দেয়ার ভান করা।
পারস্পরিক সম্মানের জন্য বিলীন হয়ে যাওয়া যেমন জরুরী নয় তেমনি আলাদা স্বকীয়তা বজায় রাখতে বা ঈমান আমল টিকিয়ে রাখতে তাদেরকে হেয় করা বা ইনফিরিয়র কিংবা শত্রু জ্ঞান করাও বড্ড বাড়াবাড়ি।
আর মুসলমানের আচার ব্যাবহার ও রিচ্যুয়ালসকে যদি গণমাধ্যমে উন্নত প্রকাশভঙ্গীতে উপস্থাপন না করতে পারেন তাহলে ওয়াজ করে জাতীর আচরণ কন্ট্রোল করবেন এমনটা ভাবা খুব বোকামির পর্যায়ে পরে।
আমি প্রায়ই দেখি কোলকাতা কিংবা হিন্দি ফিল্মে সনাতনী রিচ্যুয়ালসের এত সুন্দর উপস্থাাপনা থাকে যা দেখে নরম মনের মানুষ সেদিকে ঝুকে পরতে পারে।
সুতরাং উপদেশ, পরিবেশ ও গনমাধ্যমে উন্নত উপস্থাপনার সমন্বয় ছাড়া অন্য ধর্মীয় আচরণে বিলীন হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনা অসম্ভব।
অন্য ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস আমার ধর্ম মতে সত্যের বিপরীত হতে পারে কিন্তু আমার ধর্ম তার ধর্মীয় স্বাধীনতার পূর্ণতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।
সুতরাং নিরাপদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ভাবে কাটুক বিজয়া এই শুভেচ্ছা রইলো আমার হিন্দু ধর্মের ভাই ও বোনদের জন্য।
সানবিডি/ঢাকা/ এসএস