নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে আওয়ামীলীগ-বিএনপির দ্বন্ধের জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সকল সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছিল। এ সংঘর্ষের জের ধরে মামলায় জয়লাভ করা ও প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে উপজেলা যুবলীগের এক নেতার যোগসাজসে গত সোমবার রাতে নুনেরটেক গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি কর্মী আক্রম আলী ও আব্দুল মান্নানের বাড়ি ঘর নিজেরাই গভীর রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে লোক দেখানো আত্মচিৎকার শুরু করে। এ ঘটনায় আকরম আলী বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় সোনারগাঁ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক মুহাম্মদ শাহ জালাল সহ মো: হক সাব, মো: হাসেম, জাকারিয়া ভুইয়া, আমজাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সাদ্দাম হোসেনকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক শাহ জালাল জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগ বিএনপির সংঘর্ষের পর থেকে আমি নুনেরটেক গ্রামে যাইনি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে পুলিশের হয়রানীর ভয়ে অন্য আসামিরা কেউই নুনেরটেক ছিলেন না। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত না করেই মামলা নথিভুক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুস সাত্তার জানান, আমাদের ক্লাবের এক সদস্যকে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনো হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সঠিকভাবে তদন্ত করে অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা থেকে শাহ জালালের নাম বাদ দেওয়ার দাবী জানান তিনি।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এমন ব্যাক্তির নাম মামলায় আসলে তদন্ত করে বাদ দেওয়া হবে।
সানিবডি/ঢাকা/জালাল/এসএস