স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতার অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। অসাম্প্রদায়িকতাই ছিল ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম চেতনা যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশেরও ভিত্তি।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে সরস্বতী পূজা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার - এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, একটি দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ বসবাস করবে। সেখানে যদি আমরা ধর্মীয় বিভক্ত সৃষ্টি করি এবং এটাকে নিয়ে যদি আমরা বাড়াবাড়ি করি তাহলে পৃথিবীর কোন দেশেই বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা বসবাস করতে পারবে না। তেমনিভাবে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান আছে সব ধর্মের মানুষেরাই ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানগুলো পালন ও উপভোগ করবেন। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদেরটা পালন করবেন। এই আদর্শ ও বিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা আরম্ভ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রনয় ভার্মা, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্সটিল। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এম জি