চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস। বগিভিত্তিক দুটি গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের সংঘর্ষে দিনভর উত্তপ্ত থেকে সন্ধ্যায় রূপনেয় তুমুল সংঘর্ষে। এতে তিনজন পুলিশসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার। এর ভিতরে মাথায় জখম, হাতে ক্ষত ও চোখে পায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে আহতদের কারোই নাম পরিচয় জানা যায়নি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হয় এই সংঘর্ষ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ ও প্রক্টরের সামনে ৫ ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না পরিস্থিতি। এছাড়া দুপুরে শাহজালাল ও শাহআমানত হল সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সন্ধ্যায় শহীদ আব্দুর রব হল সংঘর্ষে জড়ায়। শাহজালাল হলে সিক্সটি নাইন, শাহ আমানত হলে ও শহীদ আব্দুর রব হলে সিএফসি অবস্থান করে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও নতুন কমিটির জন্য ছাত্রলীগের গ্রুপগুলো সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আমাদের কাছে অতিরিক্ত পুলিশ নেই। আমরা ওসির সাথে যোগাযোগ করছি। র্যাব মোতায়েন করার জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে নিশ্চুপ হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁড়ির পুলিশ। তারা কোনভাবেই পুলিশ মোতায়েন করতে চাচ্ছে না। তাদের দাবি তাদের কাছে কোন রিজার্ভ ফোর্স নাই। তারা জেলা পুলিশ। তারা বলছেন ৪০ জন ফোর্স আছে।
এএ