প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল-রহমান আল-থানি বৈঠক করেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনের আগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস এবং উইমেন পলিটিক্যাল লিডারসের (ডব্লিউপিএল) সভাপতি সিলভানা কোচ-মেহরিন সাক্ষাৎ করেছেন।
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটে জার্মানির মিউনিখের মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দরে অবতরণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর।
এদিকে, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি থাকবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সেভেনজা সুলজ, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটার গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও আশা করা যায়।
সফরকালে শেখ হাসিনা জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এএ